মনিরুল ইসলাম: [২] 'শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি ' এই শ্লোগান সামনে রেখে ২৪ দফার  জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। ইশতেহার ঘোষণা করছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।  

[৩] বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে বনানীস্থ চেয়ারময়ানের কার্যালয়ে  নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে এ কথা জানান মুজিবুল হক চুন্নু। 

[৪] এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, উপদেষ্টা খলিলুর রহমান খলিল, যুগ্ম মহাসচিব মনজু,দফতর সম্পাদক রাজ্জাক খান ও সদস্য সোলায়মান সামি প্রমুখ।

[৫] ইশতেহার ঘোষণার সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের অনুপস্থিত ছিলেন। 

[৬] মুজিবুল হক  চুন্নু ইশতেহারের শুরুতে বলেন,  নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং নতুন প্রজন্মের জন্য আগামী অর্ধ শতাব্দী সময়কে সামনে রেখে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অতীত ও বর্তমান কার্যক্রমের বিশ্লেষণের জনগনের কাছে কাছে তুলে ধরে ভবিষ্যৎ? পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কর হয়েছে। তা উপস্থাপন করা হচ্ছে।

[৭] এবারের ইশতেহারে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি বন্ধের বিষয়টি। এছাড়া প্রাদেশিক ব্যবস্থার প্রবর্তন, নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন, সুশাসনের জন্য বাংলাদেশ, শিক্ষিত/ অশিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য কর্মস্থান,স্বাস্থ্য  সেবা সম্প্রসারণ, শিক্ষা পদ্ধতি সংশোধন,সন্ত্রাস দমন ও মাদকের বিস্তার রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, সর্বোচ্চ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের কল্যাণ সাধন, ধর্মীয় সংখ্যালুঘ জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ করা, পররাষ্ট্র নীতিতে সকলের সঙ্গে বন্ধত্বসহ ২৪ দফার  ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

[৮] এছাড়া আকর্মমুখী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি ইশতেহার প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইশতেহারে  জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে গুরুত্ব থাকছে। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের রূপরেখা দেয়া হচ্ছে এবারের ইশতেহারে।

[৯] ইশতেহারে প্রাদেশিক ব্যবস্থায় বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যমান ৮টি বিভাককে ৮টি প্রদেশে উন্নীত করা হবে। দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

[১০] গত ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণের চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়। এবার দলটি এককভাবে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী দিলেও ২৬টি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে।

[১১] ইশতেহারে ঢাকা থেকে ৫০ শতাংশ সদরদপ্তর স্থানান্তর। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সরকারি প্রভাবমুক্ত রাখা, বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করার  কথা রয়েছে।

[১২] ইশতেহারে বলা হয়- কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী আইন পাস না করা, ইসলামিক কমিশন গঠন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রয়োজনে মৃত্যুদণ্ডের আইন করা এবং সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, এটাই হবে পররাষ্ট্রনীতি ভীত্তি। দেশের চলমান বাস্তবতায় কর্মসংস্থান, বিকেন্দ্রীকরণ, বিচারব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা, কর্মমুখী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইশতেহার।

[১৩] এছাড়াও বিশ্ব ইজতেমার জন্য স্থায়ী জায়গা করে দেওয়ার অঙ্গীকার রয়েছে ইশতেহারে। পেশাজীবি মহিলাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে।